Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Image
Title
বড়কুলের জমিদার বাড়ি
Details

উত্তর বড়কুল জমিদার  বাড়ী (ভার্গিত্যা বাড়ী)। ইংরেজ আমলে স্থাপিত স্থাপত্য কারু কার্য্য সম্বলিত সুদৃশ্য মহল। যা দর্শনার্থীর মন কেড়ে নেবে।

হাজীগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। এর দক্ষিণ পাড়ে বড়কুল গ্রাম। হাজীগঞ্জ পাইলট স্কুল লাগোয়া পাকা সড়ক। এক কিলোমিটার মতো রাস্তা পেরোলেই নদী। খেয়াঘাট আছে নদীর পাড়ে। নদী পার হলেই জমিদারবাড়ি পেয়ে যাবেন।গাঁয়ের নাম নিয়ে নানা কথা চালু আছে। বড় বংশের (কুল) লোকজন বসতি গড়েছিল দক্ষিণ পাড়ে, তাই এমন নাম। আবার অনেকে বলেন, ডাকাতিয়া নদী খুব ডাকাবুকো ছিল, কূলও ছিল বড়। আজ ডাকাতিয়ার সেই শওকত নেই, নামের সঙ্গে কাজের মিল পাওয়া যায় না আর। তবে কয়েকটি জমিদারবাড়ি নিজের কূলে ধরে রেখেছে ঠিকই। তেমনই একটা বাড়ি ভাগিত্যা বাড়ি মানে ভাগ্যবানের বাড়ি। মালিক ছিলেন জমিদার পদ্মলোচন সাহা। তিনি ছিলেন শৌখিন। বাড়িটির ভেতর-বাইরে ঝলমলে। বাইরে চিনি টিকরির কারুকাজ, ভেতরে ঝাড়বাতি। পুজোর ঘর, অতিথিশালা, জমিদারের থাকার ঘর- সব আলাদা আলাদা। প্রাঙ্গণে স্মৃতি মন্দিরও আছে খানকতক। ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে বাবা লোকনাথের মন্দির। ডান দিকে আছে বড় একটি পুকুর। জনশ্রুতি আছে, জমিদারের মায়ের পায়ে কাদা লাগবে বলে পুকুরের তলদেশ ইট-সুরকি দিয়ে পাকা করা হয়েছিল। পুকুরের পশ্চিমপাড়ে আছে দুটি পাকা ঘাটলা। পুকুর পেরিয়ে সামনে এগোলে দুর্গামন্দির তবে এখন আর পুজোর কাজে ব্যবহৃত হয় না এই মন্দির। মন্দির পেরোলে অতিথিশালা আর তার সামনেই দক্ষিণমুখী দোতলা বসতঘর। ভবনগুলোর নকশায় মোগল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। বাড়ির আয়তন প্রায় চার একর। বাড়িতে পদ্মলোচন সাহার চতুর্থ প্রজন্মের লোকজন থাকে। বড়কুল গ্রামে আরো আছে পোদ্দারবাড়ি ও রাধেশ্যাম সাহার বাড়ি।